ইংলিশ মিডিয়া লিডসে একক প্রদর্শনের জন্য Jasprit Bumrah ঘোষণা করল ‘GOAT’ (Greatest of All Time): “তার ক্যারিয়ার দু’টি খণ্ডে লেখা হবে”

Jasprit Bumrah ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইনিংস শেষ করেন, যেখানে তার বলে তিনটি ক্যাচ ফেলেছিলেন ফিল্ডাররা এবং হ্যারি ব্রুককে আউট করেও একটি নো বলের কারণে উইকেটটি পাননি।

লিডসে ‘পূর্ণাঙ্গ’ বোলারের নিদর্শন Jasprit Bumrah

অস্ট্রেলিয়ায় গত মৌসুমের পারফরম্যান্স যদি যথেষ্ট না-ও হয়, তবে লিডসে Jasprit Bumrah তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের সংজ্ঞাকেই এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলেন। দুই দিনের মাথায় একাই ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে লিড থেকে বঞ্চিত করলেন তিনি। তবে কেবল পাঁচ উইকেট পাওয়াই নয়, ব্যাটিং-সহায়ক হেডিংলির শুকনো পিচে অন্যান্য সব পেসারকে ছাপিয়ে যে দাপট তিনি দেখালেন, সেটাই তাঁকে অনন্য করে তোলে। ইংল্যান্ডের গণমাধ্যমও তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়ে বলছে, “সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফাস্ট বোলার—সময়ের সেরা।”

এই একই বাক্যই ব্যবহার করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্টিভেন ফিন, যিনি বিবিসির জন্য তাঁর কলামে Jasprit Bumrah পাঁচ উইকেট (৫/৮৩) নেওয়ার পারফরম্যান্সের পর এমন মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, সেই ইনিংসে বুমরাহর তিনটি ক্যাচ ফেলা হয় এবং একটি নো বলের জন্য হ্যারি ব্রুক আউট হয়েও বেঁচে যান।

এটি ছিল Jasprit Bumrah ক্যারিয়ারের ১৪তম টেস্ট ফাইফার এবং দেশের বাইরে তাঁর ১২তম—যা ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে কপিল দেবের সঙ্গে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ। ফিন তাঁর লেখায় বুমরাহর রান-আপ, বোলিং আর্ক এবং বহু আলোচিত ‘হাইপার-এক্সটেনশন’ সহ কারিগরি দিকগুলো বিশ্লেষণ করেন এবং পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমাণ করেন কেন বুমরাহকে “ইতিহাসের সবচেয়ে ধারাবাহিক ফাস্ট বোলার” বলা হয়।

ফিন লেখেন, “সে যেন এক সুপার কম্পিউটার, প্রতিটি মুহূর্তে পরিস্থিতি বুঝে নেয় এবং নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করে। তার বহুমুখিতার উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—প্রধান দেশগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ টি-টোয়েন্টি বল করা পেসারদের মধ্যে বুমরাহর ইকোনমি রেট (৬.২৭) সেরা। একই সঙ্গে, টেস্টে ২০০ বা তার বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে তাঁর গড় সবচেয়ে ভালো—১৯.৩৩, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালকম মার্শালের (২০.৯৪) চেয়েও অনেক ভালো।”

অন্যদিকে, Telegraph.co.uk-এ প্রকাশিত একটি কলামে বর্ষীয়ান সাংবাদিক স্কাইল্ড বেরি বুমরাহকে “সবচেয়ে নিখুঁত রেড-বল ফাস্ট বোলার” বলে উল্লেখ করেছেন এবং কাগিসো রাবাডা ও প্যাট কামিন্সের মতো তাঁর সমসাময়িকদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

Jasprit Bumrah নিয়ে দুই খণ্ডে লেখা হবে ক্রিকেট ইতিহাস

Jasprit Bumrah

“যখন Jasprit Bumrah ক্যারিয়ার লেখা হবে, তখন তা দুই খণ্ডে ভাগ করে আলাদা দুটি শিরোনামে প্রকাশ করতে হবে। প্রথম খণ্ড হতে পারে: ‘সর্বকালের সেরা সাদা বলের ফাস্ট বোলারের চূড়ান্ত জীবনী।’ আর দ্বিতীয় খণ্ড, কারণ ক্রিকেট বিবর্তিত হয়েছে — হতে পারে: ‘সর্বকালের সেরা লাল বলের ফাস্ট বোলারের চূড়ান্ত জীবনী’,” এমনটাই লিখেছেন বিশ্লেষক পিটার বেরি।

তিনি মনে করিয়ে দেন, টেস্ট ক্রিকেটে যাঁরা ২০০ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বুমরাহই একমাত্র বোলার যাঁর গড় ২০-এর নিচে (১৯.৩৩)। বেরি আরও বলেন, “সে করতে পারে যা কাগিসো রাবাডা করে নতুন বলে — স্টাম্প লাইনে সুইং করানো — এবং যা প্যাট কামিন্স করে পুরনো বলে, তার চেয়েও বেশি।”

তিনি আক্ষেপ করে লেখেন, “যদি বুমরাহ ইংল্যান্ডে জন্মাত, তবে কাউন্টি একাডেমি পার হতেই পারত না, কারণ তখনই তাকে তার অ্যাকশন পাল্টাতে বলা হতো — যা তাকে করেছে অনন্য, অদ্ভুত এবং বিদ্যুৎগতিতে দ্রুত।”

টাইমস স্পোর্টসে সাইমন ওয়াইল্ড তাঁর প্রতিবেদনে শিরোনাম দেন: “এখানে দুটি খেলা হয়েছে: একটি যখন বুমরাহ বল করেছেন, অন্যটি যখন তিনি করেননি।” তিনি তুলে ধরেন বুমরাহর পাঁচ উইকেটের বিপরীতে মাত্র ৮৩ রান খরচের কীর্তি, যেখানে বাকি ভারতীয় পেসাররা ৫৩ ওভারে ২৮৩ রান দিয়ে বাকি পাঁচ উইকেট নেন। এটি বুমরাহর প্রভাব কতটা গভীর তা স্পষ্ট করে দেয়।

Sign Up Fast For E2Bet And Enjoy A Free Bonus On Your First Registration!

Scroll to Top